মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর আরও কঠোর শুল্ক আরোপ করেছেন। বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হওয়া এ সিদ্ধান্তে চীনা পণ্যে মোট শুল্কহার বেড়ে ১৪৫ শতাংশে পৌঁছেছে। হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, তিনি চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করছেন। তবে তার প্রশাসনের সাম্প্রতিক ব্যাখ্যায় জানা যায়, এই ১২৫ শতাংশের সঙ্গে আগে থেকে আরোপিত ২০ শতাংশ শুল্কও যুক্ত থাকছে। ফলে মোট শুল্ক দাঁড়াচ্ছে ১৪৫ শতাংশে।

তবে ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়াম আমদানি, সেইসঙ্গে অটোমোবাইল পণ্যগুলোকে বাদ দেওয়া হয়েছে, যেগুলোর ওপর ট্রাম্প পৃথক ব্যবস্থায় ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন।

তামা, ওষুধ, সেমিকন্ডাকটর, কাঠ ও জ্বালানির মতো পণ্যের ক্ষেত্রে—ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি ভিন্নভাবে চিন্তা করছেন।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই নতুন শুল্কনীতি চীনের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের আরও কঠোর অবস্থানের ইঙ্গিত দিলেও পুরো শুল্ক কাঠামোটি বেশ জটিল হয়ে উঠেছে। কারণ বিভিন্ন পণ্যের ওপর ভিন্ন হারে শুল্ক আরোপ করায় সামগ্রিক চিত্র বোঝা কঠিন হয়ে পড়ছে।

ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্তকে অনেকেই রাজনৈতিক বার্তা হিসেবে দেখছেন। হোয়াইট হাউজ বলছে, ‘অন্যায্য বাণিজ্য অনুশীলন’ বন্ধে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববাজারে এর প্রভাব কী হবে, সেটি এখনও পরিষ্কার নয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা ও ব্যবসায়ী মহলে এই নতুন শুল্ক আরোপ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।